ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৭ মার্চ) সকালে ঐতিহাসিক এ দিবসটি উপলক্ষে গণভবনে স্মারক ডাকটিকিটটি অবমুক্ত করেন তিনি।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ১০ টাকা মূল্যমানের এই স্মারক ডাকটিকিটের নকশাবিদ সনজীব কান্তি দাস। ৫০ হাজার কপি স্মারক ডাকটিকিট মুদ্রণ করা হয়।

স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের মর্মকথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, যতই বাধা এসেছে ৭ মার্চের ভাষণ ততই উদ্ভাসিত হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত এদেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল, যেমনটা করেছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী- তারাও সেদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু সত্য সর্বদাই অনিরুদ্ধ। তাই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির এ মহামন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়-বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।

আর কেউ কোনোদিন ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না, এই ভাষণ বিশ্বে চিরন্তন হয়ে থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ, এই স্বাধীনতা আর কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না, আজকের প্রজন্ম বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত, তাদের আর বিভ্রান্ত করা যাবে না, হয়ত ২১ বছর করেছিল এখন আর পারবে না, প্রযুক্তির যুগে আর অন্ধকারে তাদের নেওয়া সম্ভব না।

এর আগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর খুলে দেওয়া হয়।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের ১৮ মিনিটের মহাকাব্যিক ভাষণের দিবসটি বাঙালি জাতির কাছে এক অবিস্মরণীয় দিন।

 

কলমকথা/ বিথী